• সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৬:৫২ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
জামালপুরে ক্রীড়া পরিদপ্তর বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির ২০২৪- ২৫ এর আওতায় মাসব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন জামালপুরে এম শুভ পাঠানের নেতৃত্বে সাবেক এমপি নাসিরউদ্দিন পিন্টুর দশম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জামালপুরে জ্বনদ্বীপ নিউজের মতবিনিময় সভা ভঙুর অবস্থা থেকে দেশকে ফিরিয়ে এনেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার – জামালপুর সচিব সাইফুল্লাহ পান্না জামালপুরে শুভ পাঠনের নেতৃত্বে মহান মে দিবস পালিত  জামালপুরে মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শেরপুরে বিডব্লিউএমআরআই হাইব্রিড ভুট্টা ২ এর ব্লক প্রদর্শনী উপলক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত  ময়মনসিংহ রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ জামালপুর জেলা মানবিক পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম সেবা বকশীগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান বকশীগঞ্জে বন্যার সতর্ক বার্তা ও ঝুঁকি  ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রাজধানী ঢাকার সড়কে যানজটের ভোগান্তির শেষ কোথায়

 

সিয়াম সানীঃ

রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ । রোজার দিনে যানজটের কারণে অফিসগামী এবং সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে।

প্রতিদিন সকাল থেকেই পুরো ঢাকা শহরের যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

মিরপুর, খিলগাঁও, ফার্মগেট, মহাখালী, গুলশান, শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলে প্রচন্ড ধীর গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। । মোহাম্মদপুর, মগবাজার, রামপুরা, বাড্ডা ও গুলিস্তান এলাকায় যানজট প্রতিদিন ই ভয়াবহ হয়ে ওঠছে, এর ফলে অফিসগামী ও সাধারণ যাত্রীরা পড়ছেন নানান ভোগান্তিতে। মাত্রাহীন ভাবে বেড়ে যাওয়া অদক্ষ চালক দ্বারা ব্যাটারি চালিত রিকশা হয়ে উঠেছে যানজট বাড়ার আরেক অনুঘটক।

ভাড়ায় রাইড শেয়ার করা মটর বাইক চালকদের দেখা গেছে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে, কারন হিসেবে তারা জানাচ্ছেন তীব্র যানজট এর কারনে তাদের একই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ফলে কাংখিত পরিমানে ট্রিপ ও ভাড়া পেতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে।

এদিকে এলিভেটেট এক্সপ্রেস ওয়েতে উঠার মুখেও যানজটের সম্মুখিন হতে হচ্ছে ব্যাবহারকারিদের। সয়ংক্রিয় পদ্ধতির পাশাপাশি প্রতিটি প্রবেশপথে টোল আদায়কারি কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়ে সময় কমানোর চেস্টা করা হচ্ছে, তথাপিও প্রতিটি প্রবেশমুখে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

সাফিউল মুমেনিন নামে অফিসগামী একজন জানান, “সকাল ৮টায় বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হয়েও সকাল ১০ টায় বনানীর অফিসে পৌছাতে পারছিনা”।

নাফিসা মারজান ইসরার নামের একজন ছাত্রী জানান “ধানমন্ডি থেকে আজিমপুর এর বাসায় যেতে তার গতকাল ৩ ঘন্টার বেশি সময় লেগেছে যা খুবই কস্টদায়ক।“

রোজার মাসে এটি  একটি অতিরিক্ত ভোগান্তি তৈরি করেছে। গরম বাড়তে থাকায় যানজটে স্থবির মানুষজন আরো অসহ্য বোধ করছেন।

যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মহানগর পুলিশ এর পক্ষ থেকে নানান পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা সবসময় কার্যকর হচ্ছেনা। প্রধান সড়ক ছাড়াও গুরুত্বপুর্ন সংযুক্ত শাখা সড়ক সমুহেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে ইউ লুপ, ডাইভারশন, ওভারব্রিজ ছাড়া রাস্তা পারাপার বন্ধ করা সহ নানান পদক্ষেপ নেয়া হলেও এতে তেমন কোনো সুবিধা মিলছে না।

সংশ্লিস্টরা মনে করেন ঢাকার যানজট সমস্যা সমাধানে সবার আগে প্রয়োজন জন সচেতনতা এবং পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন। যাত্রীবাহি বাসগুলোকে এখনো যত্রতত্র এবং রাস্তা আটকিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে যা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সড়ক বিভাজন গুলোর প্রতিবন্ধকতা না থাকায় যত্রতত্র রাস্তা পারাপার বন্ধ করা যাচ্ছে না, যা যানজট বাড়াতে সহায়ক ভুমিকা রাখছে। ঈদ কে সামনে রেখে ভ্রাম্যমান দোকানে ছেয়ে যাচ্ছে ঢাকার গুরুত্বপুর্ন ফুটপাথ সমুহ, যার কারনে পথচারিরা বাধ্য হচ্ছেন মুল সড়ক ধরে পায়ে হাটতে। এদিক থেকে তারাও দুর্ঘটনার ঝুকিতে পরছেন।

তবে ঢাকার মানুষ মুক্তি চায় যানজটেরএই ভোগান্তি থেকে। আর মুক্তির উপায় একমাত্র সম্ভব সকলের যার যার জায়গা থেকে সমন্বিত পদক্ষেপ ও নিজ দ্বায়িত্ব পালন করার মাদ্ধমেই।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।